নুর মোহাম্মদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
নাইক্ষ্যংছড়ি’র ঘুমধুমে টানা এক সপ্তাহের ভারি বৃষ্টিপাত ও প্রবল বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ঘরবন্দী শতাধিক পরিবার।
বুধবার(৩১ জুলাই) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় টানা এক সপ্তাহের ভারি বৃষ্টিপাত ও প্রবল বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ঘরবন্দী তুমব্রু কোনারপাড়া, বাজার পাড়া ও মাজর পাড়ার কয়েক শতাধিক পরিবার। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে প্রবল বেগে ঢলের পানি প্রবেশ করছে। যার কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল এসে ইউপির ১,২,৪,৫,৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডের পশ্চিমকূল, ক্যাম্প পাড়া, বাজার পাড়া ও কোনার পাড়া,জলপাইতলী,মধ্যম পাড়া,হেডম্যান পাড়া,আজুখাইয়া,মগঘাট,রেজু’র অন্তত কয়েক শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। যার ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভারী বৃষ্টি হওয়াতে ইউপির বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধস হয়েছে তবে প্রাণহানীর কোন ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডে যারা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে।৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আনোয়ারুল ইসলাম শিকদার বলেন,নাফ নদী লাগোয়া নয়াপাড়া,পশ্চিম পাড়ার বিলে-ঝিলে উজানী পানি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে থৈ-থৈ অবস্থা।রেজু এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বদিউল আলম জানান,পাহাড়ি ঢল ও অতিরিক্ত বৃষ্টির পানিতে কিছু-কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।দিন মজুর কামলারা কাজকর্মে যেতে পারেনি।তারাও এক প্রকার ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ জানান, কিছু দিন পূর্বে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়াসহ ঘুমধুমের প্লাবিত এলাকায় পরিদর্শন ও তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নিয়েছিলাম আমরা।
তিনি আরো বলেন টানা একসপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে আবারও পাহাড়ি ঢল এসে সীমান্তবর্তী ঘুমধুমের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেকেই দুর্ভোগে পড়েছে বলে খবর পাচ্ছি । উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নিম্নাঞ্চলের মানুষকে সতর্কতাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে আপনাদের মাধ্যমেও অনুরোধ জানাচ্ছি।
পাঠকের মতামত